12.ইসলামে জন্মসূত্রে দাসদাসী হওয়া

Print Friendly, PDF & Email

আমাদের দেশে দেখবেন যারা গাভী কিংবা ছাগল লালন পালন করেন, তারা অন্য কোন ভাল জাতের ষাঁড় বা ছাগল এনে নিজেদের গাভীর সাথে প্রজনন ঘটায়। এই আশায় যে, তার গাভীটি ভাল জাতের বাচ্চা দেবে, সেই গরুকে তারা বিক্রি করে লাভবান হবে। কিংবা সেই গরুকে দিয়ে তারা ভালভাবে কাজ করাবে। ইসলামে দাসদাসীদের সাথেও ঠিক একই কাজ করাবার সম্পূর্ণ বৈধতা রয়েছে।

মালিকানাধীন দাসীকে অন্য কোন দাস বা স্বাধীন মানুষের সাথে বিবাহ দিয়ে গর্ভবতী করালে ভাল শক্তিশালী ছেলে সন্তান জন্ম দেবে, যাকে দিয়ে কাজ করানো বা বিক্রি করা যাবে। অথবা ধরুন সুন্দর মেয়ে শিশু জন্ম দিলে সেই মেয়ে শিশুটিকে নিজেও ভোগ করা যাবে, পরে ভোগ শেষে বাজারে নিয়ে বিক্রি করা যাবে। এইরকম অমানবিক এবং নির্মম নিয়ম প্রচলিত ছিল এই মধ্যযুগেও। দাসী যদি মালিক বাদে অন্য কারো সাথে বিয়ে করে বাচ্চা জন্ম দেয়, সেই সন্তানের মালিকানা দাসীর মালিকের হয়ে যায়। সেই শিশু সন্তানটি মালিকের দাস হিসেবে পরিগণিত হয়।

অর্থাৎ ইসলামি শরীয়ত অনুসারে, দাসীকে যদি তার মালিক মুদাব্বার বা মালিকের মৃত্যুর পরে মুক্ত হবে এমন ঘোষণা না করে, তাহলে সেই দাসীর গর্ভে মালিক ভিন্ন অন্য কারো সন্তান জন্ম হলে সেই সন্তান মালিকের দাস বলে গণ্য হবে [1]। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, একটি শিশু, যে মাত্র জন্ম নিলো, জন্ম নেয়ার সাথে সাথেই সে দাসে পরিণত হলো!

2

একইসাথে আসুন জেনে নিই, মালিক ভিন্ন অন্য কারো দ্বারা দাসীর গর্ভজাত সন্তান যে জন্মগতভাবে দাস হবে, সেটি ফিকাহুস সুন্নাহ গ্রন্থ থেকে পড়ে নিই [2]

এই ছবিতে একটি খালি Alt ট্যাগ রয়েছে; এর ফাইলের নাম slave_girl_1.jpg/w=9999

একই কথা লেখা রয়েছে প্রখ্যাত ফিকাহ গ্রন্থ আল হিদায়াতেও [3]

5

এবারে আসুন তাফসীরে মা’আরেফুল কোরআন থেকেও দেখে নিই, ক্রীতদাসীর সন্তান যে মালিকের গোলাম বলে বিবেচিত হয়, সে সম্পর্কে [4]

7

তাফসীরে জালালাইন থেকেই দেখি- [5]

9

তথ্যসূত্র

  1. ফিকহে ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু, ড মুহাম্মদ রাওয়াস কালা জী, ভাষান্তর ও সম্পাদনাঃ মুহাম্মদ খলিলুল রহমান মুমিন, আধুনিক প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ২২৯ []
  2. ফিকাহুস সুন্নাহ, ২য় খণ্ড, সাইয়েদ সাবেক, শতাব্দী প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ৮৪, ৮৫ []
  3. আল হিদায়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৯৭ []
  4. তাফসীরে মা’আরেফুল কোরআন, মুফতি মুহাম্মদ শফী উসমানি, অনুবাদঃ মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৫০, ৩৫১ []
  5. তাফসীরে জালালাইন, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮০২-৮০৩ []
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন