03.অমুসলিমদের ধর্মপ্রচার – উপাসনালয় নির্মান

Print Friendly, PDF & Email

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুসলমানগণ যখন যান, তারা সেই সব দেশে ইসলাম প্রচারের অধিকার এবং অনুমতি চান। প্রতিটি সভ্য দেশেই তাদের নিজ ধর্ম পালন এবং তার প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে শরিয়া কায়েম হলে অমুসলিমদের আর তাদের ধর্ম প্রচারের কোন অধিকার থাকবে না। এই বিষয়ে প্রখ্যাত ইসলামিক দাইয়ি জাকির নায়েক কী বলেছেন সেটি দেখে নেয়া যাক-

শরিয়া বা ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমদের নতুন কোন উপাসনালয় তৈরি করা যায় না। হযরত উমর শাম দেশের নাগরিকদের সাথে একটি চুক্তি করেছিলেন, যেই চুক্তিটি ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ এবং এই চুক্তির ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে অমুসলিমদের সাথে মুসলিমরা চুক্তি করে থাকে। এই চুক্তিটি তাফসীরে ইবনে কাসীর থেকে পড়ে নিই। [1]। এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিও দেখে নেয়া যাক,

এখানে পরিষ্কারভাবেই বলা হচ্ছে, অমুসলিমগণ নতুন কোন উপাসনালয় তৈরি করতে পারবে না, মেরামত করতে পারবে না, যেগুলো মুসলিমগণ দখল করেছে তা ফেরত নিতে পারবে না, টুপি পাগড়ি জুতা পরতে পারবে না, ঘোড়ায় চড়লে গদি ব্যবহার করতে পারবে না, ধর্ম প্রচার করতে পারবে না, মৃতদেহ বহনের সময় জোরে কাঁদতে পারবে না, ইত্যাদি।

2

হানাফী ফিকাহশাস্ত্রের বুনিয়াদি গ্রন্থ আশরাফুল হিদায়াতে এই বিষয়ে যা বলা হয়েছে, সেটিও জেনে নিই, [2]

4
শরিয়া
7

তথ্যসূত্র

  1. তাফসিরে ইবনে কাসীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৬৬-৫৬৭ []
  2. আশরাফুল হিদায়া, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৯৩-৪৯৫ []
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন