03.উমর রাস্তায় দাসীদের পেটাতেন

Print Friendly, PDF & Email

ইসলাম ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিত্ব হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং ইসলামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তার অনেকজন উম্মু ওয়ালাদ ছিল বলে জানা যায়। তার বাসায় ক্রীতদাসীগণ নগ্ন বক্ষে পানীয় পরিবেশন করতেন বলে হাদিস থেকে জানা যায়। নিচর হাদিসটি দেয়া হচ্ছে, সেটি পড়ুন। এই হাদিসটি ইসলাম ওয়েব ডট নেট নামক প্রখ্যাত একটি ফতোয়া এবং হাদিস বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে। মূল হাদিস গ্রন্থেও হাদিসটি বর্ণিত আছে। হাদিসটি বর্ণনা করা হয়েছে কিতাব আল সুনান আল কুবরা গ্রন্থে। [1], এবং প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী হাদিসটি তাহক্বীক বা করেছেন। উল্লেখ্য, একটা হাদীস ঠিক কতখানি বিশুদ্ধ তা নির্ণয়ের জন্য তাহক্বীক করা হয়।

كتاب السنن الكبرى » كتاب الصلاة » جماع أبواب لبس المصلي » باب عورة الأمة
بحث في نص الكتاب معلومات عن الكتاب كتاب السنن الكبرى
2جزءالتالي صفحة
227
السابق
3127 ( وأخبرنا ) أبو القاسم عبد الرحمن بن عبيد الله الحرفي ببغداد ، أنبأ علي بن محمد بن الزبير الكوفي ، ثنا الحسن بن علي بن عفان ، ثنا زيد بن الحباب عن حماد بن سلمة ، قال : حدثني ثمامة بن عبد الله بن أنس عن جده أنس بن مالك قال : كن إماء عمر – رضي الله عنه – يخدمننا كاشفات عن شعورهن ، تضرب ثديهن .
قال الشيخ : والآثار عن عمر بن الخطاب – رضي الله عنه – في ذلك صحيحة ، وإنها تدل على أن رأسها ورقبتها وما يظهر منها في حال المهنة ليس بعورة ، فأما حديث عمرو بن شعيب فقد اختلف في متنه ؛ فلا ينبغي أن يعتمد عليه في عورة الأمة ، وإن كان يصلح الاستدلال به وبسائر ما يأتي عليه معه في عورة الرجل . وبالله التوفيق

হাদিসের মূল অংশঃ حدثني ثمامة بن عبد الله بن أنس عن جده أنس بن مالك قال : كن إماء عمر – رضي الله عنه – يخدمننا كاشفات عن شعورهن ، تضرب ثديهن .

হাদিসের ইংরেজি অনুবাদঃ Thumama bin Abdullah bin Anas told me on the authority of his grandfather Anas bin Malik who said: They were the slave girls of Umar – may God be pleased with him – who served us, revealing their hair, hitting their breasts.

এই হাদিসটিতে দেখা যাচ্ছে, যার বাঙলা অনুবাদ হচ্ছে, থুমামা ইবন আবদুল্লাহ বিন আনাস তার দাদা আনাস বিন মালিকের বরাতে বর্ণনা করেছেন, খলিফা উমরের মহলে দাসীগণ আমাদের পানীয় পরিবেশন করতো, যাদের চুল দেখা যেতো, এবং সেই চুল তাদের স্তন্যে ধাক্কা খেতো। পাঠক লক্ষ্য করুন, এই হাদিসের এই অংশটি,

تضرب ثديهن .

এর অর্থ হচ্ছে, hitting their breasts. এই বিষয়ে আমরা আমাদের লাইভ আলোচনাগুলোতে আরবি মাতৃভাষা এমন একজনকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। উনি হাদিসটি অনুবাদ করে পরিষ্কারভাবে বলে গেছেন, এর অর্থ সাধারণভাবে খোলা স্তন। আরবিতে খোলা বা উন্মুক্ত স্তন বোঝাতেই এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য, এই হাদিসটিকে আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী হাসান বা Good গ্রেডিং দিয়েছেন।

আসুন এই হাদিসটি এবং এর তাহক্বীক শায়খ আইনুল হুদার মুখ থেকে শুনে নিই,

এর সাথে প্রখ্যাত ইসলামিক আলেম আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এবং মুফতি ইব্রাহীমের একটি বক্তব্য শুনি, যেখানে উনারা পরিষ্কারভাবে হাদিস বর্ণনা করছেন, যেখানে জানা যাচ্ছে হযরত উমর ক্রীতদাসীদের পেটাতেন, মুক্ত নারীদের মত পর্দা করার কারণে।

এবারে আসুন আশরাফুল হিদায়া গ্রন্থটি থেকে দেখে নিই, [2]

তাফসীরে মাজহারীতেও এই হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে, [3]

2

একইসাথে, এই হাদিসগুলোও পড়া প্রয়োজন। নিচের হাদিসগুল থেকে স্পষ্ট হয়, দাসীর সতর বা আউরা আসলে কতটুকু।

সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায
পরিচ্ছেদঃ ৩. নামাযসমূহের তালিম দেওয়া এবং এজন্য প্রহার করার নির্দেশ এবং সতরের সীমা যা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
৮৬৩(২). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) … আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের শিশুদের সাত বছর বয়সে নামাযের (পড়ার) নির্দেশ দাও। তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে নামাযের জন্য (তা না পড়লে) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা পথক করে দাও। আর তোমাদের কেউ নিজের দাসকে বা নিজের শ্রমিককে তার দাসীর সঙ্গে বিবাহ দিলে সে যেন তার নাভির নিচ থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত অঙ্গের প্রতি না তাকায়। কারণ নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর (অবশ্য আবরণীর অঙ্গ)।
হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ)

সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায
পরিচ্ছেদঃ ৩. নামাযসমূহের তালিম দেওয়া এবং এজন্য প্রহার করার নির্দেশ এবং সতরের সীমা যা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
৮৬৪(৩). ইউসুফ ইবনে ইয়াকূব ইবনে ইসহাক ইবনে বাহলুল (রহঃ) … আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের শিশুদের সাত বছর বয়সে (পৌছলে) নামায পড়ার নির্দেশ দাও। তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে (নামায পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা (তোমাদের থেকে) পৃথক করে দাও। আর তোমাদের কেউ তার দাসকে বা শ্রমিককে বিবাহ করালে সে যেন তার (স্ত্রীর) হাঁটু ও নাভির মধ্যবর্তী অঙ্গ না দেখে। কারণ নাভি ও হাঁটুর মধ্যবর্তী অঙ্গ লজ্জাস্থানের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ)

তথ্যসূত্র

  1. كتاب السنن الكبرى » كتاب الصلاة » جماع أبواب لبس المصلي » باب عورة الأمة []
  2. আশরাফুল হিদায়া, ইসলামিয়া কুতুবখানা, নবম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬১৫ []
  3. তাফসীরে মাজহারী, নবম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৬৭ []
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন