19.দাবা/পাশা খেলা হারাম 

Print Friendly, PDF & Email

গ্রন্থঃ মুয়াত্তা মালিক
অধ্যায়ঃ ৫২. স্বপ্ন সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদিস নম্বরঃ ১৭৮৫
২. শতরঞ্জ খেলা প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৬. আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি শতরঞ্জ খেলা খেলিল, সে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের নাফরমানী করিল (অবাধ্য হইল)।(1)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার বাড়ির একটি ঘরে কিছুসংখ্যক লোক বাস করিত। তিনি শুনিয়াছেন যে, উহাদের নিকট শতরঞ্জ রহিয়াছে। অতঃপর তিনি তাহাদের নিকট বলিয়া পাঠাইলেন, তোমরা উহা (শতরঞ্জ) দূর কর। অন্যথায় আমি তোমাদেরকে আমার ঘর হইতে বাহির করিয়া দিব। তিনি উহাকে অত্যন্ত খারাপ মনে করিয়াছেন।
(1) শতরঞ্জ বলিতে শুধু ছক্কা খেলাকেই বোঝায় না, বরং আমাদের দেশে প্রচলিত দাবা খেলা, তাস খেলা, বাঘ-গুটি খেলা ইত্যাদি সমস্তই ইহার অন্তর্ভুক্ত। এই সমস্ত খেলার মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে শক্রতাও পয়দা হয়। ইহাতে মত্ত হইয়া আল্লাহকে ভুলিয়া যায়, নামায কাযা হইয়া যায় এবং আরও নানা রকমের পাপাচারে লিপ্ত হয়। এক হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি শতরঞ্জ খেলিয়াছে সে নিজের হস্তকে শূকরের গোশত ও রক্তে রঞ্জিত করিয়াছে। এই জন্য উলামায়ে কেরাম ইহাকে হারাম বলিয়াছেন। ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ), ইমাম মালিক (রহঃ) ও আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) এই জাতীয় খেলাকে সম্পূর্ণরূপে হারাম বলিয়াছেন। ইমাম শাফিয়ী (রহঃ) বলেন যে, যদি এই খেলার কারণে আল্লাহর কোন ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় কিংবা ইহা অভ্যাসে পরিণত হয়, তাহা হইলে ইহা হারাম, অন্যথায় মকরূহ তানযীহ। হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ