মেঘের ডাক আসলে কী?

Print Friendly, PDF & Email

দুটি মেঘের মধ্যে ধাক্কা লাগলে মেঘে মেঘে ঘর্ষণ হয়, যার ফলে তাপ উৎপন্ন হয়। মেঘের ক্ষুদ্র কণাগুলো এই তাপশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আয়নিত হয়ে যায়। যারফলে এই তাপশক্তি তখন বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। যাকে আমরা বিদ্যুৎ চমকানো বলি। আর আমরা আরো জানি যে কম্পনের ফলেই শব্দের উৎপত্তি হয়। মেঘের ঘর্ষণজনিত প্রতিক্রিয়া বলের কারণে যে কম্পন সৃষ্টি হয় সেটি থেকেই মূলত এই বিকট শব্দ বা আওয়াজ হয়। একেই মেঘের ডাক বলে। কিন্তু ইসলামের বিশ্বাস একেবারেই অন্যরকম।

সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
অধ্যায়ঃ ৪৪/ তাফসীরুল কুরআন
১৪. সূরা আর-রা’দ
৩১১৭। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আবূল কাসিম! আমাদেরকে রা’দ (মেঘের গর্জন) প্রসঙ্গে বলুন, এটা কি? তিনি বললেনঃ মেঘমালাকে হাকিয়ে নেয়ার জন্য ফেরেশতাদের একজন নিয়োজিত আছে। তার সাথে রয়েছে আগুনের চাবুক। এর সাহায্যে সে মেঘমালাকে সেদিকে পরিচালনা করেন, যেদিকে আল্লাহ তা’আলা চান। তারা বলল, আমরা যে আওয়াজ শুনতে পাই তার তাৎপর্য কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা হচ্ছে ফেরেশতার হাকডাক। এভাবে হাকডাক দিয়ে সে মেঘমালাকে তার নির্দেশিত স্থানে নিয়ে যায়। তারা বলল, আপনি সত্য বলেছেন। তারা আবার বলল, আপনি আমাদের বলুন, ইসরাঈল ইয়াকুব (আঃ) কোন জিনিস নিজের জন্য হারাম করেছিলেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তিনি ইরকুন নিসা (স্যায়াটিকা) রোগে আক্রান্ত ছিলেন কিন্তু উটের গোশত ও এর দুধ ছাড়া তার উপযোগী খাদ্য ছিল না। তাই তিনি তা হারাম করে নিয়েছিলেন। তারা বলল, আপনি সত্য বলেছেন।
সহীহঃ সহীহাহ (১৮৭২)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

মুয়াত্তা মালিক
৫৬. কথাবার্তা সম্পর্কিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১১. বজ্রপাতের সময় কি পড়িতে হয়
রেওয়ায়ত ২৬. আমির ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রহঃ) বজ্রের শব্দ শুনিলে কথা বলা বন্ধ করিয়া এই দোয়া পাঠ করিতেনঃ
سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ
বজ্র নির্ঘোষ ও ফেরেশতাগণ ভয় তাহার প্রশংসা মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে।
অতঃপর তিনি (আমির ইবন আবদুল্লাহ) বলিতেন, যমীনের অধিবাসীদের জন্য এই আওয়ায অত্যন্ত কঠিন আযাবের সংবাদ।[1]
[1] মুসনাদে আহমদ, নাসায়ী ও তিরমিযীতে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত হইয়াছে যে, ইহুদীগণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল যে, রা’দ কি? এতদুত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রাদ জনৈক ফেরেশতা যিনি মেঘের উপর নিয়োজিত আছেন। তাহার হাতে আগুনের একটি চাবুক আছে। সেই চাবুক দ্বারা উক্ত ফেরেশতা মেঘখণ্ডগুলিকে আল্লাহ যেইদিকে নির্দেশ দেন সেইদিকে লইয়া যান। ইহুদীগণ পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল, এই গর্জন কিসের? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইহা সেই রা’দ ফেরেশতারই গর্জন। ইহুদীগণ বলিল, আপনি ঠিকই বলিয়াছেন।

সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ কুরআন তাফসীর
পরিচ্ছেদঃ সূরা রা’দ
৩১১৭. আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) …… ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক বার কতিপয় ইয়াহূদী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এগিয়ে এসে বললঃ হে আবুল কাসিম! আপনি আমাদের বলুন, রা’দ (বজ্র) কি?
তিনি বললেনঃ মেঘ-বিষয়ে দায়িত্বশীল এক ফেরেশত। যার সঙ্গে আগুনের একটি বেত রয়েছে। এর দ্বারা আল্লাহ্ যেখানে চান সেখানেই এই ফেরেশতা মেঘ হাঁকিয়ে নিয়ে যান।
এরা বললঃ
 আমরা যে শব্দ শুনতে পাই তা কি? তিনি বললেনঃ এ হল মেঘ তাড়ানো হাঁক যখন তিনি মেঘ তাড়িয়ে নিয়ে যান পরিশেষে তা নির্দেশিত স্থানে গিয়ে পৌঁছে। এরা বললঃ ঠিক বলেছেন। এরপর তারা বললঃ ইসরাঈল [ইয়াকূব (আঃ)] তাঁর নিজের জন্য কি বস্ত হারাম করেছিলেন সে সম্পর্কে আমাদের বলুন।
তিনি বললেনঃ ইসরাঈল ইরকুন নাসা (সাইটিকা জাতীয়) রোগে আক্রান্ত হন। উটের গোশত ও দুধ ব্যতীত অন্য কোন জিনিস এর জন্য উপযুক্ত পান নি। তাই সে দুটো জিনিস নিজের জন্য হারাম করে ফেলেছিলেন। এরা বললঃ আপনি ঠিক বলেছেন।
সহীহ, সহীহাহ ১৮৭২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)