খেজুর খেলে বিষক্রিয়া হয় না

Print Friendly, PDF & Email

নবী মুহাম্মদ বলেছেন, কেউ যদি সকালবেলা সাতটি উৎকৃষ্ট খেজুর খায়, তাহলে তার ওপর বিষক্রিয়া কোন কাজ করে না। এই বিষয়টি যেহেতু নবী বলেছেন, সেহেতু ইসলাম অনুসারে এটি সত্য কথা। কিন্তু কোন মুসলিমকে যদি বলেন, সকালবেলা সাতটি উৎকৃষ্ট খেজুর খেয়ে আসুন, এরপরে আপনাকে আমরা পটাশিয়াম সায়ানাইড খাইয়ে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখি, যেন নবীর হাদিসের সত্যটা প্রমানিত হয়ে যায়, তাতে কোন বুদ্ধিমান মুসলিমই রাজী হবেন না। নবীর ওপর শত বিশ্বাস থাকলেও তারা কেউই রাজী হবে বলে মনে হয় না। তারা বলবে, এটি তারা বিশ্বাস করে বটে, কিন্তু পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে তাদের কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণটি কী বলে আপনাদের মনে হয়? [1] [2]

সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৭০/ খাওয়া সংক্রান্ত
পরিচ্ছেদঃ ৭০/৪৩. আজওয়া খেজুর প্রসঙ্গে।
৫৪৪৫. সা’দ তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না। [৫৭৬৮, ৫৭৬৯, ৫৭৭৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)

সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩১/ চিকিৎসা
পরিচ্ছেদঃ মাসরুম ও আজওয়া খেজুর।
২০৭২. আবূ উবায়দা ইবন আবূ সাফার ও মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) …. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আজওয়া হলো জান্নাতী খেজুর। এতে আছে বিষের প্রতিষেধক, মাসরুম হলো মান্‌নের অন্তর্ভুক্ত। এর পানি হলো চক্ষু রোগের প্রতিষেধক।
হাসান সহীহ, তাহকিক মিশকাত ছানী ৪২৩৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৬৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এই বিষয়ে সাঈ ইবন যায়দ, আবূ সাঈদ ও জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব। সাঈদ ইবন আমির (রহঃ) -এর সূত্র ছাড়া মুহাম্মদ ইবন আমরের রিওয়ায়াত হিসাবে এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

আসুন এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও দেখে নিই,

তথ্যসূত্র

  1. সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন, হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৫ []
  2. সুনান আত তিরমিজী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ২০৭২ []
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন