হযরত মুহাম্মদ নিজে অনেকগুলো বিবাহ করেছেন, দাসীদের সাথেও সহবত করেছেন। এবং প্রায়শই বিবি দাসী এদের নিয়ে রীতিমত ঝগড়াঝাঁটি হয়ে গেছে, যা সামাল দিতে আল্লাহপাকের হুমকিধামকি সহ আয়াত পর্যন্ত নাজিল করতে হয়েছে। নবী মুহাম্মদ অল্পবয়সী শিশু স্ত্রী আয়িশাকে বেশি ভালবাসতেন যেটি সর্বজনবিদিত। মজার কথা হচ্ছে, নিজে এতগুলো বিয়ে করলেও, নিজের মেয়ের জামাইকে কিন্তু তিনি আর কোন বিয়ে করতে দেন নি। সেখানে তিনি জাতে মাতাল তালে ঠিক। বাপ তো! কীভাবে মেয়ের জন্য সতীন আনার অনুমতি দেন! কিন্তু তিনি যাদের বিয়ে করেছেন, তারাও যে কারো না কারো কন্যা ছিল, এই কথাটি উনি ভুলেই গেছেন। তারাও যে সতীন ঘরে আসলে কষ্ট পেতো, সেটি তিনি ভাবেন নি [1] [2]।
সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৪/ বিয়ে-শাদী
পরিচ্ছদঃ ২৫৩৩. কন্যার মধ্যে ঈর্ষা সৃষ্টি হওয়া থেকে বাধা প্রদান এবং ইনসাফমূলক কথা
৪৮৫০। কুতায়বা (রহঃ) … মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বরে বসে বলতে শুনেছি যে, বনি হিশাম ইবনু মুগীরা, আলী ইবনু আবূ তালিবের কাছে তাদের মেয়ে শাদী দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছে; কিন্তু আমি অনুমতি দেব না, আমি অনুমতি দেব না, আমি অনুমতি দেব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আলী ইবনু আবূ তালিব আমার কন্যাকে তালাক দেয় এবং এর পরেই সে তাদের মেয়েকে শাদী করতে পারে। কেননা, ফাতেমা হচ্ছে আমার কলিজার টুকরা এবং সে যা ঘৃণা করে, আমিও তা ঘৃণা করি এবং তাকে যা কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
![সর্বোচ্চ সম্মান এবং সুমহান মর্যাদা! আলীকে দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দিয়েছিলেন নবী](https://imagedelivery.net/f1WB4tcfMJdoXc_M7eEHYg/www.shongshoy.com/2019/09/xpQ1Ow1.jpg/w=9999)
কেউ কেউ দাবী করবেন, আলীকে মুহাম্মদ আরেকটি বিয়ে করতে নিষেধ করেছিলেন কারণ আলীর আলীর বিয়ের প্রস্তাবটি এসেছিল কাফেরদের পরিবার কাছ থেকে। এই তথ্যটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আলী ফাতিমার মৃত্যু পর্যন্ত আর একটি বিয়েও করতে পারেননি, নবীর এই নিষেধাজ্ঞার জন্য। নবী তার প্রিয় কন্যার যেন সতীন না থাকে, সেইদিকে কড়া নজর রেখেছেন। [3]
![06.আলীকে দ্বিতীয় বিবাহ করতে বাধা 1](https://imagedelivery.net/f1WB4tcfMJdoXc_M7eEHYg/www.shongshoy.com/2022/01/ali_fatema.jpg/w=700)