05.নবীর পেশা কি ছিল?

Print Friendly, PDF & Email

নবী মুহাম্মদ কোন রাখঢাক না করে খুব সরাসরিই বলে দিয়েছেন, নবীর জীবিকা ছিল বর্শার ছায়াতলে। অর্থাৎ তিনি ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষাদীক্ষার প্রচার প্রসার, চাকরিবাকরি করে নিজের জীবন অতিবাহিত করতেন না। তিনি যুদ্ধ এবং যুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত গনিমতের মাল থেকেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার পেশাই ছিল যুদ্ধ করা এবং কাফেরদের মালামাল লুট করা [1]

হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ
পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য
(১৯০০) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি (কিয়ামতের পূর্বে) তরবারি-সহ প্রেরিত হয়েছি, যাতে শরীকবিহীনভাবে আল্লাহর ইবাদত হয়। আমার জীবিকা রাখা হয়েছে আমার বর্শার ছায়াতলে। অপমান ও লাঞ্ছনা রাখা হয়েছে আমার আদেশের বিরোধীদের জন্য। আর যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদেরই দলভুক্ত।
(আহমাদ ৫১১৪-৫১১৫, ৫৬৬৭, শুআবুল ঈমান ৯৮, সহীহুল জামে’ ২৮৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)

লুটপাটের মাধ্যমে ধনী হয়েছিলেন নবী

নবী মুহাম্মদ ছিলেন নিঃস্ব, যিনি ভেড়া আর উট চড়াতেন। তার কোন পেশাও ছিল না। ১১ জন বিবি লালন পালন এবং একটি হেরেমখানা ভর্তি দাসী বাঁদীর খরচা চালাবার মত ব্যবসা বাণিজ্য কিংবা কোন আয় উপার্জনের বন্দোবস্তোও নবীর ছিল না। নবীর আয়ের প্রধান উৎস ছিল কাফেরদের আক্রমণ করে তাদের মালামাল লুট করে তার থেকে ভাগ নেয়া। অনেক মুমিনই আজকাল বলার চেষ্টা করেন, নবী খুবই দরিদ্র ছিল, এমনকি দুই বেলা খেতেও পেতেন না। প্রশ্ন হচ্ছে, এত দরিদ্র নবী তাহলে গণ্ডায় গণ্ডায় বিয়ে করতেন, দাসীও রাখতেন, হেরেমে রক্ষিতা ভর্তি করতেন, এত নারীর চালাবার জন্য অর্থ কী আসমান থেকে নাজিল হতো, নাকি কাফেরদের কতল করে তাদের বিষয় সম্পত্তি লুটের মাল থেকে? কোরআনেই বলা আছে, [2]

তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।

কোরআনে আরো বলা আছে, [3] [4] [5] [6] [7]

এটা জেনে রেখো যে, যা কিছু তোমরা গনিমতের মাল অর্জন কর তার মধ্যকার এক পঞ্চমাংশ হচ্ছে আল্লাহর ও তার রাসূলের, এবং রাসূলের (সাঃ) নিকট আত্মীয়দের, এতিমদের ও মিসকিনদের এবং মুসাফিরদের এবং ভ্রমণকারীদের জন্য

লুটের মালের ২০% ভাগ নিতেন নবী

সূরা আনফাল অর্থ হচ্ছে, যুদ্ধে লুট করা মাল। এই লুটের মাল নামক সূরাতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, লুটের মালের এক পঞ্চমাংশ নেবে নবী মুহাম্মদ।[8]

সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫৭/ খুমুস (এক পঞ্চমাংশ)
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৭. আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘নিশ্চয় এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর ও রসূলের’’ (আনফাল ৪১)। তা বণ্টনের অধিকার রসূলেরই। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি বণ্টনকারী ও সংরক্ষণকারী আর আল্লাহ তা‘আলাই প্রদান করেন।
৩১১৭. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি তোমাদের দানও করি না এবং তোমাদের বঞ্চিতও করি না। আমি তো মাত্র বণ্টনকারী, যেভাবে নির্দেশিত হই, সেভাবে ব্যয় করি।’ (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

তথ্যসূত্র

  1. হাদীস সম্ভার, হাদিস নম্বরঃ ১৯০০ []
  2. কোরআন ৯৩ঃ৮ []
  3.  সূরা আনফাল, আয়াত: ১ , ৪১ []
  4. সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত: ২৫ []
  5. সূরা রোম , আয়াত: ৩৮ []
  6. সূরা আহযাব, আয়াত: ২৭ []
  7. সূরা হাশর, আয়াত: ৬‑৯ []
  8. সহীহ বুখারী, তাওহীদ পাবলিকেশন্স, হাদিস নম্বরঃ ৩১১৭ []
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন