ধর্মান্ধ দেশে ধর্ষণ কম?

Print Friendly, PDF & Email

ধর্মপ্রবণ রক্ষণশীল দেশগুলোতে ধর্ষণের শিকার একজন নারীর পক্ষে ধর্ষণের বিচার চাওয়া, পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা কিংবা আদালতের শরণাপন্ন হওয়া একটি বিশাল ঝুঁকির কাজ। অধিকাংশ সময়ে ধর্ষিতাকেই নানাভাবে অপমান অপদস্থ করা হয়। সামাজিকভাবে হেয় করা হয়, পারিবারিকভাবেও। ধর্ষণের প্রমাণ দিতে দিতে তার জীবন দিতে হয়। সামাজিক লজ্জা আর পারিবারিক অপমান করার কথা তো বাদই দিলাম।

শরীয়া আইন অনুসারে চারজন পুরুষ সাক্ষী প্রয়োজন হয়, ধর্ষণ যে হয়েছে তা প্রমাণ করতে। সাক্ষীসাবুদ আনতে না পারলে মেয়েটাকেই শাস্তি পেতে হয় জিনার দায়ে। এটাই শরীয়া আইন। বিস্তারিত এখানে বলা হয়েছে [1]

এখন এতগুলো পুরুষ সাক্ষী নিয়ে কোন মেয়ে খুব প্ল্যান মাফিক ধর্ষিত হতে যায়? তাই সেসব দেশে ধর্ষণের কোন অভিযোগই আরোপ করা হয় না। কারণ মেয়েরা জানে, এগুলোই তাদের ভবিতব্য। এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে উল্টো তাকেই শাস্তি পেতে হবে। হেয় হতে হবে। তাকেই চরিত্রহীন প্রমাণ করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই তাই মুসলিম দেশগুলোতে ধর্ষণের অফিশিয়াল রিপোর্টের সংখ্যা কম থাকে। অন্যদিকে ধর্মহীন সেক্যুলার দেশগুলোতে গাড়িতে কোন মেয়ের শরীর স্পর্শ করলেও সাথে সাথেই পুলিশ চলে আসে। মেয়েরা নির্ভয়ে সেগুলো প্রকাশও করতে পারে। তাতে তাকে সামাজিকভাবে লজ্জিত হতে হয় না।

একইসাথে, ধর্মপ্রবণ দেশগুলোতে স্বামী দ্বারা ধর্ষিত হলে সেটিকে ধর্ষণ হিসেবেই গণ্য করা হয় না। আর সভ্য দেশগুলোতে স্বামী বয়ফ্রেন্ড যেই হোক, কারো বিনা অনুমতিতে বা সম্মতি ছাড়া স্পর্শ করাও অপরাধ হিসেবে গণ্য। তাই সভ্য দেশগুলতে রিপোর্টেড ক্রাইমের সংখ্যা বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।

তথ্যসূত্র

  1. ইসলামি শরিয়তে ধর্ষণের শাস্তি []
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন