শিন্তো কেবল জাপানের একটি প্রাচীন ধর্ম নয়, বরং এটি জাপানি সত্তা ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই আর্টিকেলে শিন্তো ধর্মের উৎপত্তি, প্রকৃতিপূজা ও ‘কামি’ (Kami)-র দর্শন থেকে শুরু করে জাপানি মিথলজির বিচিত্র জগত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এতে উঠে এসেছে বৌদ্ধধর্মের সাথে শিন্তোর হাজার বছরের সহাবস্থান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ‘স্টেট শিন্তো’র রাজনৈতিক ব্যবহার এবং আধুনিক অ্যানিমে ও পপ কালচারে এর গভীর প্রভাব। কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর জাপানি সমাজ আজও ওমামোরি বা মাৎসুুুুরির মতো প্রাচীন প্রথার মাধ্যমে নিজেদের শেকড়কে আঁকড়ে ধরে আছে, তা এই লেখার মূল উপজীব্য।
যখন ইউরোপ ‘অন্ধকার যুগে’ নিমজ্জিত, তখন অষ্টম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত বাগদাদ থেকে কর্ডোবা পর্যন্ত এক জ্ঞানভিত্তিক সভ্যতা জেগে উঠেছিল। এই ইসলামী স্বর্ণযুগে পণ্ডিতরা কেবল গ্রিক জ্ঞানের মশাল রক্ষা করেননি, বরং তাতে নতুন তেল ঢেলে তাকে আরও উজ্জ্বল করেছিলেন। গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন ও প্রকৌশলে তাদের যুগান্তকারী অবদান পরবর্তীকালে ইউরোপীয় রেনেসাঁ ও আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের কৌতূহল, যুক্তি ও বহুসাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের এক মহাকাব্য এই স্বর্ণযুগ, যা ইতিহাসের এক প্রায়-বিস্মৃত অথচ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যার উত্তরাধিকার আজও আধুনিক বিশ্বকে আলোকিত করে রেখেছে।
মহাবিশ্বের বিশাল বিশৃঙ্খলার মাঝে মানুষের মস্তিষ্ক বিন্যাস খোঁজে, আর এই খোঁজের প্রধান হাতিয়ার হলো যুক্তিবিদ্যা বা লজিক। এই লেখাটি কেবল যুক্তির সংজ্ঞা বা ইতিহাসেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এক ব্যবহারিক টুলবক্স যা আমাদের অপরিচ্ছন্ন চিন্তাকে শৃঙ্খলিত করতে শেখায়। সত্য ও বৈধতার পার্থক্য, ডিডাকশন ও ইন্ডাকশনের পথ, এবং চিন্তার সাধারণ ভুল (ফ্যালাসি) থেকে শুরু করে আমাদের মস্তিষ্কের গভীরে থাকা পক্ষপাত (কগনিটিভ বায়াস) – সবকিছুই এখানে আলোচিত। চূড়ান্তভাবে, এটি কুসংস্কারের অন্ধকারে যুক্তিবাদের মশাল জ্বালিয়ে সত্য অনুসন্ধানের এক বুদ্ধিবৃত্তিক অভিযাত্রা, যা আমাদের নির্ভুলভাবে চিন্তা করতে এবং প্রতারণার ফাঁদ এড়াতে সাহায্য করে।
সমাজবিজ্ঞানী স্ট্যানলি কোহেন আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে মিডিয়া ও রাষ্ট্র সাধারণ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে সমাজে ‘মোরাল প্যানিক’ বা নৈতিক আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাঁর কালজয়ী তত্ত্ব দেখায়, কীভাবে ‘মোরাল এন্টারপ্রেনার’ বা নৈতিক উদ্যোক্তারা নির্দিষ্ট কোনো ‘সাব-কালচার’ বা উপ-সংস্কৃতিকে বা কোন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে ‘ফোক ডেভিল’ বা লোক-দানব হিসেবে চিহ্নিত করে ‘মাস-হিস্টিরিয়া’ বা গণ-হিস্টিরিয়া তৈরি করে। ষাটের দশকের মডস ও রকার্সদের সংঘাত থেকে উঠে আসা এই তত্ত্ব আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ইতিহাসের পাতায় নজর দিলেই এই আতঙ্কের প্রমাণ মেলে – হোক তা মধ্যযুগের কুখ্যাত ডাইনি শিকার, সত্তরের দশকে ব্রিটেনে ‘মাগিং’-এর জন্য কৃষ্ণাঙ্গদের দায়ী করা, আশির দশকের ভিত্তিহীন ‘স্যাটানিক রিচুয়াল অ্যাবিউজ’, কিংবা এইডস আতঙ্কে সমকামীদের একঘরে করে দেওয়া। এই দীর্ঘ প্রবন্ধে কোহেনের জীবনের আখ্যান ও তত্ত্বের আলোকে সমাজের এই লুকানো ভয়, বিদ্বেষ ও অস্বীকারের মনস্তত্ত্বকে ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে, যা আমাদের চারপাশের জগতকে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে শেখাবে।
জানুন মহাভারতের যে কথাগুলো জাতিবাদের ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে। জাতিভেদের মূলে কুঠারাঘাত করতে পারে এই বক্তব্যগুলি।
জাকির নায়েক দাবী করছেন যে, খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে নাকি খুব পরিষ্কারভাবে নবী মুহাম্মদের আগমনের ভবিষ্যবাণী করা আছে।
